না’গঞ্জে সাত খুনের তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় কমিটি গঠনের ১১ মাসের মাথায় আদালতের নির্দেশে গঠিত প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে।
আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন আদালতের কাছে দাখিল করা হবে।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বৃহস্পতিবার এ কথা জানান, ‘তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের কাজ আমরা চূড়ান্ত করেছি।
আশা করছি আগামী সপ্তাহে আদালতের কাছে প্রতিবেদন দিতে পারব।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এর পর আদালতের নির্দেশে ৭ মে অভিযোগ তদন্তে তখনকার অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী মোল্লাকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কমিটির এক সদস্য জানান, কমিটি চার শতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াাউল আহসান রয়েছেন।
কাউন্সিলর নজরুলসহ সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার জন্য র্যাবকে দায়ী করে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল অভিযোগ তোলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র্যাবের মাধ্যমে তার জামাতাকে হত্যা করিয়েছে।
এর পর র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল সাঈদ তারেক, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই সাত খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
অপরদিকে নূর হোসেনকে গত বছরের ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। নূর হোসেনকে দেশে আনার চেষ্টা চললেও সরকার এখনো তাতে সফল হয়নি।
প্রতিক্ষণ/এডি/নূর